
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ শীর্ষ নিউজ ডটকমকে বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস পরীক্ষা পদ্ধতি একই। তাই একত্রে পরীক্ষা নিতে সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, এরআগে এই দুটি পরীক্ষা অধিদফতরের কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হতো। এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এ বছর থেকে সকল সরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমান আসন সংখ্যার উপর ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পাশাপাশি নতুন আরও ৩টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হচ্ছে। এই ৪টি নতুন কলেজের প্রতিটিতে ৫০ জন করে মোট ২শ' শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এ প্রসঙ্গে ডা. সিফায়েত উল্লাহ বলেন, কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও কুলি্লয়ায় ৫০ আসনবৃদ্ধি তিনটি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজে এ বছরই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। চিকিৎসা শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে, নতুন ৩টি মেডিকেল কলেজ চালু হলে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ২১টি হবে। এসব মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে মোট ২ হাজার ৬শ ৮৬জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এছাড়া ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সোহরাওয়ার্দি মেডিকেলের সংলগ্ন ডেন্টাল ইউনিটে বিডিএস কোর্সে ২শ ৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর বাইরে এমবিবিএস কোর্সে ৭৪টি এবং বিডিএস কোর্সে ১৫ সংরক্ষিত আসন রয়েছে। বেসরকারি খাতে ৪৪টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ৫০টি। বেসরকারি ১৩টি ডেন্টাল কলেজে আসন রয়েছে ৭শ ৬৫টি।
অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. শাহ আবদুল লতিফ বলেন, ফরম সংগ্রহ করা ও জমা দিতে গিয়ে আগে শিক্ষার্থীদের গলদঘর্ম অবস্থার মুখোমুখি হতে হতো। অনালাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণের কাজ শুরু হলে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ অনেক কমে আসবে।
এদিকে জানা গেছে, এইচএসসি পাশের পর প্রথমবারে যে কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় অর্জিত মোট নম্বরের উপর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীরা বেশি সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments:
Post a Comment