
* যেখানে আপনি পড়তে কমফোর্ট ফিল করবেন, সেখানেই পড়বেন। সবসময় একটি জায়গায় বা পরিবেশে পড়তে চেষ্টা করবেন।
* আপনি নীরব স্থানে পড়ার চেষ্টা করুন। যেখানে আপনাকে কোন শব্দ ডিষ্টার্ব করবেন না।
* এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে আপনি সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারবেন।
* পড়ার সময় টিভি, রেডিও, কম্পিউটার, মিউজিক প্লেয়ার অফ রাখুন অথবা এগুলো থেকে দুরে নীরব কোন স্থানে পড়তে বসুন।
আপনার প্রস্তুতি ও আমাদের পরামর্শঃ
* আপনাকে আপনার পরীক্ষা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে।
* পরীক্ষার আগেই আপনাকে পরীক্ষার সিলেবাস ভিত্তিক বিষয়, প্রশ্ন কাঠামো এবং নম্বর বন্টন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। তখনই আপনি আপনার প্রস্তুতি কতটুকু যথার্থ হয়েছেতা উপলব্ধি করতে পারবেন।
* পড়াশুনার জন্য সর্বোত্তম এবং সর্বোচ্চ সময়টুকু আলাদা করে এবং বাকি সময়ে অন্যান্য কাজকর্ম খাওয়া-দাওয়া, ঘুম ….. ইত্যাদি প্রাত্যহিক কাজ সেরে ফেলবেন।
* প্রস্তুতির শেষ মুহুর্তে এসে নতুন কোন পড়া পড়বেন না।
* অতিরিক্ত পড়া উচিত নয়। এতে মস্তিস্কের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। মস্তিস্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মস্তিস্ক পড়া মেমোরাইজ করতে পারে না।
* পড়ার সময় একটি টার্ম শেষ না করে হুট করে অন্যটায় চলে যাবেন না।
* কখনই শুয়ে শুয়ে পড়বেন না।
* পড়ার সময় ভারি খাবার গ্রহন করবেন না।
* একটানা এক ঘন্টা পড়ার ভেতর ৫/১০ মিনিট বিরতী নিয়ে আবার পড়া শুরু করুন।
* পরীক্ষার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ( যেমন-পেনসিল, কলম , ক্যালকুলেটর, এডমিট কার্ড, টাকা……..ইত্যাদি) আগে থেকে প্রস্তুত করে রেখে দেন।
* পড়ার সময়টাকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে পরিকল্পনা মত পড়-ন।
* যে কোন প্রয়োজনে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন, ভার্সিটিতে পড়-য়া বড় ভাইয়া / আপুর সাহায্য এবং পরামর্শ নিবেন।
* পরীক্ষার শুরুর আগের দিনগুলোতে খুব বেশী করে পড়তে যাবেন না। যদি যথার্থ প্রস্তুতি থাকে।
* ঘুমোতে যাবার আগে ঐদিনের পড়াগুলোর উপর একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
* পড়ার ফাঁকে ফাঁকে কিছু রিক্রিয়েশনের ব্যবস্থা রাখবেন। নয়তো পড়াটা আপনার নিকট মনোটনাস বা বোরিং ফিল হতে পারে।
* পরীক্ষার আগের দিন রাত জেগে পড়বেন না।
* রিভিশনের জন্য আপনি স্কিমিং ও স্ক্যানিং পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
* আপনার চারপাশের সামান্য বিষয়/ঘটনা আপনার মনকে এলোমেলো করে দিতে পারে। তাই মোবাইল ফোন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের গল্পগুজব, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি থেকে দুরে ও সচেতন থাকবেন।
* পড়ার টাইম টেবিল এমনভাবে প্রস্তুত করুন, যেন পরীক্ষার পূর্বে রিভিশনের যথেষ্ট সময় থাকে।
* এবং মনে রাখবেন -”চৎবঢ়ধৎধঃরড়হ চৎবাবহঃং চড়ড়ৎ ঈড়হফরঃরড়হ”
আপনার খাবারঃ
* আপনাকে পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতির সময়ে খাবার গ্রহনের ক্ষেত্রেও সর্তক থাকতে হবে। কেননা জীবানুযুক্ত যে কোন খাবার আপনার অসুখের কারন হতে পারে এবং আপনার পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে।
* পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহন করুন। সতেজ ফলমুল খাবেন এবং পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। খাবারের সময় পড়বেন না।
* খেতে ইচ্ছা করলেও কোন কিছু অতিরিক্ত খাবেন না।
* ফুটপাতের ধুলাবালু ও জীবানুযুক্ত খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকুন।
* পরীক্ষার পূর্বে কখনই বেশী করে চা-কফি বা ক্যাফেন যুক্ত খাবার খাবেন না।
* প্রস্তুতির দিনগুলোতে সকালের নাস্তা ভালভাবে করবেন। মনে রাখবেন এটা আমার সারাদিনের মস্তিস্কের জ্বালানী।
আপনার বিশ্রাম ও ঘুম ঃ
* পরীক্ষার পূর্বে এবং চলাকালীন সময়ে নিয়ম করে ৬ ঘন্টা ঘুমাবেন। মনে রাখবেন পর্যাপ্ত ঘুম আপনার পড়াকে মেমোরাইজড করতে সাহায্য করে ।
* উদ্বেগের কারনে ঘুম না হলে কখনই ঔষুধ বা উদ্দীপক ব্যবহার করবেন না।
* ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে টেনশনমুক্ত করে প্রশান্ত মনে ঘুমোতে যাবেন ।
* ২/১ দিন ঘুম কম হলেও এত উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।
অভিভাবকদের দায়িত্বও কম নয় ঃ
* পরীক্ষার সময় আপনার সন্তানকে যতেœর ভিতর রাখুন।
* আপনার সন্তানকে সবসময় উৎসাহ দিন।
* পরীক্ষার সময় আপনার সন্তানকে রাত জাগতে দিবেন না।
* পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র নিয়ে আপনার সন্তানকে ঘাটাঘাটি করবেন না।
* তাকে পড়াশুনা ব্যতীত অন্য কোন কাজ করতে দিবেন না।
* পরীক্ষার দিন তার প্রয়োজনীয় বিষয় (যেমন-এডমিট কার্ড, পেনসিল, কলম, ক্যালকুলেটর, টাকা ……….. ইত্যাদি) আপনি গুছিয়ে রাখুন।
* পরীক্ষা খারাপ হলে তাকে বকা ঝকা করবেন না। তাকে আশ্বাস দিন এবং পরবর্তী পরীক্ষা ভাল করার জন্য উৎসাহ দিন।
* আপনার সন্তান যেন পরীক্ষা নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ না নেয় এ বিষয়ে সচেতন থাকবেন।
* আপনার সন্তান যেন সুন্দর পরিবেশে মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করতে পারে এ বিষয়ে আপনি সচেতন থাকুন।
আপনার পরীক্ষার দিনঃ
* পরীক্ষার দিন নিজেকে রিলাক্স মুডে রাখতে চেষ্টা করুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। অস্থির হবেন না। নিজেকে শান্ত রাখুন।
* বাসা থেকে বের হবার আগে দেখে নিন আপনার এডমিট কার্ড সহ আপনার প্রয়োজনীয় সকল জিনিস সাথে নিয়েছেন কি না।
পরীক্ষার হলে আপনার করণীয়ঃ
* প্রশ্ন যতটুকুই কমন পড়-ক মাথা ঠান্ডা রেখে উত্তর দিবেন।
* একটি প্রশ্নের উত্তর করার সময় কোনক্রমেই অন্য প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।
* প্রশ্নে কি চাওয়া হয়েছে তা ভালভাবে বুঝে উত্তর লিখুন।
* যেহেতু পরীক্ষার হলে সময় খুব অল্প তাই প্রথম দিকে জানা প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়া উচিত।
* অংক/চিত্র অঙ্কন করার জন্য যতটুকু জায়গা দেওয়া হয়েছে এতেই স্পষ্ট করে লেখা এবং অঙ্কন করা উচিত।
* একজাম পেপার জমা দেওয়া পূর্বে ২/৩ বার দেখে নিন কোথাও কোন ভুল-ত্র”টি আছে কি না। পরীক্ষার শুরুর পূর্বে কিভাবে কতক্ষন সময়ে ভিতর পরীক্ষা দিবেন তার একটা পরিকল্পনা করে নিন।
* প্রয়োজনে পরীক্ষার হলে ঔষধ/পানি নিয়ে যাবেন।
* নির্ধারিত সময়ের পূর্বে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হবেন।
একটু বাড়তি সচেতনতাঃ
* যে কোন ধরনে দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। সব সময় নিজেকে সেইভ করে রাখুন।
* পারিবারিক ও অন্যান্য সমস্যা থেকে পরীক্ষার এই সময়টুকুতে যেভাবে হোক নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখুন। কোন ঝামেলায় জড়াতে যাবেন না।
* কোন বিষয়ে এ মুহুর্তে ইমোশনাল হবেন না।
* এফেয়ার এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে পরীক্ষার সময়টুকুতে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখুন।
* পরীক্ষা, পড়াশুনা বাদ দিয়ে অন্য কোন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবেন না। এমনকি পরীক্ষা নিয়েও বাড়তি দুশ্চিন্তা করবেন না।
আত্মবিশ্বাসটা যে খুব দরকারঃ
প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তির কারনেই সম্রাট নেপোলিয়ন বিশ্বজয় করেছিলেন। জর্জ বার্নার্ড শ’ মাত্র ৫ বছর স্কুলে পড়ে বিশ্ববিখ্যাত লেখক হয়েছেন। ষ্টিফেন হকিং পঙ্গুত্বকে পেছনে ফেলে হয়েছেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী। আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের উপরে। আপনিও পারবেন ।
সুত্রঃ www.hello-today.com
No comments:
Post a Comment