পুরান ঢাকার মালিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হাবিবুর রহমান হল দীর্ঘ ২৫ বছর পর অবৈধ দখল থেকে মুক্ত হয়েছে।
সোমবার হলটি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেয় সরকার।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন ও কোতোয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ পুলিশ নিয়ে সকাল ১১টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
অবৈধ দলখদাররা বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ছাত্ররা ভবনটির প্রধান ফটকে 'ড. হাবিবুর রহমান হল, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়' লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। এছাড়া ভবনটি বিভিন্ন স্থানে ওড়ানো হয় অর্ধশতাধিক লাল পতাকা।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সরকারের সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি হলের মধ্যে বেদখলে থাকা বাকি ১০টি হলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রেও সরকার এভাবে সহযোগিতা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মো. আল আমিন পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল ১১টার দিকে বংশাল থানার পেছনে মালিটোলায় ড. হাবিবুর রহমান হলে পৌঁছান। মিজানুর রহমানসহ ১৮ জন দখলদারকে হলটি ছেড়ে দিতে আধা ঘণ্টা সময় দেন তিনি।
এ সময় উচ্ছেদ ঠেকাতে আবুল হক নামের এক দখলদার তার আইনজীবীর মাধ্যমে কয়েকটি দলিল মেজিস্ট্রেটকে দেখান। তবে দলিল পরীক্ষার পর তা জাল বলে সনাক্ত করে মেজিস্ট্রেট বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সবাইকে হল ত্যাগের নির্দেশে দেন। কিন্তু তারা এরপরও আপত্তি করলে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মেজিস্ট্রেট।
নির্দেশ পেয়ে দাঙ্গা পুলিশ হলে ঢুকলে দখলদাররা তাদের মালপত্র নিয়ে বের হতে শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে ৩৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের এক দখলদার আরেকটি দলিল নিয়ে মেজিস্ট্রেটকে দেখান এবং হলের দখল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু পরীক্ষার পর সেটিও জাল বলে সনাক্ত করেন মেজিস্ট্রেট।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক নুরুল মোমেন জায়গাটি মেজিস্ট্রেটের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা হলটি দখলমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও দিনভর উপস্থিত থেকে এ উচ্ছেদ প্রক্রিয়াকে সমর্থন যোগান।
বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "হলটি দখলমুক্ত করে বিশ^বিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।"
নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আরও দেড় বছর আগে হলটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু দখলদাররা উচ্চ আদালতে মামলা করে তিন মাসের স্থগিতাদেশ নেয়। পরে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়। সর্বশেষ জলা প্রশাসন ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে তাদের উচ্ছেদ করা হলো।"
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৫ বছর আগে এখানে জগন্নাথ কলেজের ছাত্রদের থাকতে দেখেছেন তিনি। ছাত্রদের মারধর করে নামিয়ে দেওয়ার পর কয়েক বছর জায়গাটি খালি ছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে একটি চক্র জায়গাটি কিনে নেওয়ার দাবি তুলে হল দখল করে নেয়।
বিভিন্ন সময়ে সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার হলটি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেয় সরকার।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন ও কোতোয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজীব আল মাসুদ পুলিশ নিয়ে সকাল ১১টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
অবৈধ দলখদাররা বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ছাত্ররা ভবনটির প্রধান ফটকে 'ড. হাবিবুর রহমান হল, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়' লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। এছাড়া ভবনটি বিভিন্ন স্থানে ওড়ানো হয় অর্ধশতাধিক লাল পতাকা।
বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সরকারের সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর দখলদারদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি হলের মধ্যে বেদখলে থাকা বাকি ১০টি হলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রেও সরকার এভাবে সহযোগিতা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মো. আল আমিন পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল ১১টার দিকে বংশাল থানার পেছনে মালিটোলায় ড. হাবিবুর রহমান হলে পৌঁছান। মিজানুর রহমানসহ ১৮ জন দখলদারকে হলটি ছেড়ে দিতে আধা ঘণ্টা সময় দেন তিনি।
এ সময় উচ্ছেদ ঠেকাতে আবুল হক নামের এক দখলদার তার আইনজীবীর মাধ্যমে কয়েকটি দলিল মেজিস্ট্রেটকে দেখান। তবে দলিল পরীক্ষার পর তা জাল বলে সনাক্ত করে মেজিস্ট্রেট বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সবাইকে হল ত্যাগের নির্দেশে দেন। কিন্তু তারা এরপরও আপত্তি করলে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মেজিস্ট্রেট।
নির্দেশ পেয়ে দাঙ্গা পুলিশ হলে ঢুকলে দখলদাররা তাদের মালপত্র নিয়ে বের হতে শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে ৩৫ নম্বর হোল্ডিংয়ের এক দখলদার আরেকটি দলিল নিয়ে মেজিস্ট্রেটকে দেখান এবং হলের দখল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু পরীক্ষার পর সেটিও জাল বলে সনাক্ত করেন মেজিস্ট্রেট।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক নুরুল মোমেন জায়গাটি মেজিস্ট্রেটের কাছ থেকে বুঝে নেন।
এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. অশোক কুমার সাহা, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা হলটি দখলমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও দিনভর উপস্থিত থেকে এ উচ্ছেদ প্রক্রিয়াকে সমর্থন যোগান।
বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "হলটি দখলমুক্ত করে বিশ^বিদ্যালয়কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।"
নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল-আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আরও দেড় বছর আগে হলটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু দখলদাররা উচ্চ আদালতে মামলা করে তিন মাসের স্থগিতাদেশ নেয়। পরে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেয়। সর্বশেষ জলা প্রশাসন ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে তাদের উচ্ছেদ করা হলো।"
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২৫ বছর আগে এখানে জগন্নাথ কলেজের ছাত্রদের থাকতে দেখেছেন তিনি। ছাত্রদের মারধর করে নামিয়ে দেওয়ার পর কয়েক বছর জায়গাটি খালি ছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালে একটি চক্র জায়গাটি কিনে নেওয়ার দাবি তুলে হল দখল করে নেয়।
বিভিন্ন সময়ে সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment