Monday, August 15, 2011

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেলে ভর্তি, আজ থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু

du.jpgআজ ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১-২০১২ সালের প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র ছাড়া হবে। আর ১৫ সেম্পেটর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে । ১২ আগষ্ট শুক্রবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, অতীতে কিছু ভুয়া শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ার কারণে আর ভুয়া ভর্তির সুযোগ থাকছে না।উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নূন্যতম কম্পিউটার জ্ঞান দিয়ে ভর্তি আবেদন করতে পারবেন-এ কথা উল্লেখ করে উপাচার্য আরো বলেন, এজন্য ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের কোনো কোচিংয়ের দ্বারস্থ হতে হবে না








আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনকারী রাষ্ট্রায়াত্ত ৪টি ব্যাংক (সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী) যেকোনো শাখায় ভর্তি আবেদন ফি ৩০০ টাকা জমা দিতে পারবেন। আর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রবেশপত্র গ্রহণ করতে পারবেন।
আগামী ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের, ২১ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের, ২৮ অক্টোবর বাণিজ্য অনুষদভুক্ত গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ১৮ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের এবং ২৫ নভেম্বর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.admission.univdhaka.edu) এ ভর্তি সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ০১৮৪২২৪৪২৪৪/০১৬১৬১৫১৫৫৯ এবং যে কোনো ফোন নম্বর থেকে ১৬৩২১ এই নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে যেকোনো তথ্য জানতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


মেডিকেল ভর্তি: অনলাইনে আবেদন শুরু

medical.jpg 
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ১ম বর্ষে ভর্তির আবেদনপত্র আজ মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে পূরণ করা যাবে। ফরম পূরণের এ কার্যক্রম চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগে এ দু’টি পরীক্ষা অধিদফতরের কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হতো।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা গেছে- মাধ্যমিক (এসএসসি), উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) অথবা সমমানের পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে নূন্যতম জিপিএ ৮ অর্জনকারীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দু’টির কোনও একটিতে প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০-এর কম হলে ওই শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন না। ভর্তি ফি বাবদ ৬শ’ টাকা টেলিটক মুঠোফোন থেকে এসএমএস’র মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র িি.িফমযং.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
আবেদনের জন্য ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা অথবা স্ক্যান করা পার্সপোর্ট সাইজের ছবি ও শিক্ষার্থীর নিজের স্বাক্ষরের স্ক্যান করা ছবি প্রস্তুত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য ফরম পূরণের সময় একটি মোবাইল নম্বর দিতে হবে। শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুযায়ী মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট বাছাই করে নিতে হবে। প্রত্যেক কলেজের জন্য পৃথক কোড নম্বর রয়েছে। একবার পছন্দক্রম চূড়ান্তের পর তা পরিবর্তন করা যাবে না। ভর্তি ফরম যথাযথভাবে পূরণ শেষে একটি কোড নম্বর দেয়া হবে। এই কোড নম্বর ব্যবহার করে টেলিটক মুঠোফোনের মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীর দেয়া মুঠোফোন নম্বরে এসএমএস’র মাধ্যমে প্রবেশ পত্র সংগ্রহের বিষয়ে জানানো হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমেই প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করতে হবে। শুধু ঢাকা বোর্ড থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজকে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। অবশিষ্ট কেন্দ্রগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ হ্যালো টুডে কে বলেন, এর আগে মেডিকেলে ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। ভর্তির আবেদন অনলাইনে করার ফলে এ ভোগান্তি কমে আসবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে এ বছর থেকে সব সরকারি মেডিকেল কলেজে বর্তমান আসন সংখ্যার উপর ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পাশাপাশি নতুন আরও ৩টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ চালু করা হচ্ছে। এই ৪টি নতুন কলেজের প্রতিটিতে ৫০ জন করে মোট ২শ’ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। নতুন ৩টি মেডিকেল কলেজ চালু হলে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ২১টি হবে। এসব মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে মোট ২ হাজার ৬শ’ ৮৬জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এছাড়া ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সংলগ্ন ডেন্টাল ইউনিটে বিডিএস কোর্সে ২শ’ ৬৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর বাইরে এমবিবিএস কোর্সে ৭৪টি এবং বিডিএস কোর্সে ১৫ সংরক্ষিত আসন রয়েছে। বেসরকারি খাতে ৪৪টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি কলেজে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ’ ৫০টি। বেসরকারি ১৩টি ডেন্টাল কলেজে আসন রয়েছে ৭শ’ ৬৫টি।
অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. শাহ আবদুল লতিফ হ্যালো-টুডে ডট কম কে বলেন, মেডিকেলে ভর্তির কার্যক্রম অনলাইনে এই প্রথম চালু করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য এ পদ্ধতিকে অনেক সহজ করা হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে ০১৫৫০১৫৭৭৫০, ০১৫৫০১৫০০৫৬, ০১৫৫০১৫০০৮০, ০১৫৫০১৫০০৬৬, ০১৫৫০১৫০০৬৪ নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে পারবেন। এছাড়া ই-মেইল করেও সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। ই-মেইল ফমযং@ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ।
এদিকে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন এমন শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করতে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে তার জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় অর্জিত মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এর মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বেশি অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবেন।

No comments:

Post a Comment